আকাশপারে মাতালিয়া মেঘ জমেছে,
ডুবো ডুব মন অতীত ঘিরে ছোট্টবেলার-
কাগজ ছিঁড়ে নৌকো ভাসাই জল ছপা ছপ
মায়ের আঁচল সোঁদা গন্ধ বৃষ্টিবেলার।
জলের ফোঁটায় ভাঙা মেঘের হলুদ আলো
আকাশ জোড়া রামধনুতে বিকেল এলো-
টুকুস টুকুস নানা রঙের রোদের কোণায়
মনখারাপি ভাবনারা সব এলোমেলো।
ছলাৎ ছলাৎ ট্রামলাইনে কলেজ ফেরৎ,
এমন করে আড়চোখেতে সে তাকালো-
মেঘের শরাব উপছে উঠে টলোমলো
তবে কি সে ভালোবাসি বলে গেল!
তখন কেমন বইতো যেন পাগলপারা
বৃষ্টি হাওয়া,উড়ে যেতো শাড়ির আঁচল,
উঠতো দুলে ঝুমকো কানের, চুড়ি রিনরিন,
অভিমানে ভিজে যেত চোখের কাজল।
আজকে সেসব কান্না লিখি রাতের পাতায়
মেঘ-সোহাগী রাত কেটে যায় জেগে জেগে;
ডায়রিতে যত্নে রাখা গ্রিটিংস কার্ডে
সিক্ত যুঁথির গন্ধ যেন আছে লেগে।
বেয়াক্কেলে বৃষ্টি এলো ঝাপটা দিয়ে
মন ভিজে যায় টবের লিলির আদ্র ছোঁয়ায়
ফ্ল্যাশ ব্যাকেরা কাজল মেঘে যাচ্ছে ভেসে,
চশমার কাঁচে বৃষ্টিকণার স্রোত বয়ে যায়।
নীল শাড়িতে সেদিন আমি রাই-কিশোরী
বুকের মাঝে উথাল পাতাল তোর ঐ চাওয়া,
তোর ছোঁয়াতে পায়ের নূপুর রিনিক ঝিনিক
রিনি রিনি কাঁচের চুড়ির বর্ষা পাওয়া।
মেঘের বাঁকে হারিয়ে যাওয়া সেই দেশটা
আজকে যেন বারিষানার প্রতি পলে-
দুচোখ জুড়ে উঠছে ভেসে দ্বীপের মতো
মুহূর্তরা উঠছে দুলে লোনা জলে।।
দেবী পালিত।